পরীক্ষা চলছিল কেন্দ্রে, উত্তরপত্র তৈরি হচ্ছিল মসজিদে, দুই শিক্ষক আটক
দিনাজপুর টিভি ডেস্ক
আপলোড সময় :
১৮-০৮-২০২৪ ০৭:৩৪:৩৯ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১২-১০-২০২৪ ১০:৫২:৪৩ অপরাহ্ন
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে চলমান আলিম পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেখে উত্তরপত্র তৈরি ও সরবরাহ করার সময় দুই মাদ্রাসাশিক্ষককে আটক করেছে উপজেলা প্রশাসন। এ সময় ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ব্যবহৃত ৯টি মোটরসাইকেল ও ৪টি মুঠোফোন জব্দ করা হয়েছে।
আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার ৩ নম্বর সিংড়া ইউনিয়নের কশিবাড়ি জামে মসজিদ থেকে থানা-পুলিশের সহযোগিতায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম তাঁদের আটক করেন।
অভিযানের সময় প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে মোটরসাইকেল ও মুঠোফোন ফেলে কৌশলে কয়েকজন শিক্ষক পালিয়ে যান। আটক শিক্ষকেরা হলেন উপজেলার কৃষ্ণরামপুর ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যক্ষ সুলতান হোসেন (৫২)। তিনি উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের নলেয়া গ্রামের বাসিন্দা। অন্যজন দেওগাঁ ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম (৪০)। তিনি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বারোকান্দি গ্রামের সাঈদ মিয়ার ছেলে।
রামেশ্বর ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও আলিম পরীক্ষাকেন্দ্রের সচিব মমিনুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল ১০টায় রামেশ্বর ফাজিল মাদ্রাসায় চলমান ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমানের আলিম পরীক্ষায় বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা শুরু হয়। কেন্দ্রে ঘোড়াঘাটের চারটি ও হাকিমপুর উপজেলার তিনটিসহ মোট সাতটি প্রতিষ্ঠানের ১৭৫ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছিলেন।
কেন্দ্র থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে কশিবাড়ি জামে মসজিদে একদল শিক্ষক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র অনুযায়ী উত্তরপত্র তৈরি করছেন এবং মুঠোফোনে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের কাছে সরবরাহ করছেন, এমন অভিযোগ পায় উপজেলা প্রশাসন। পরে থানা-পুলিশের সহযোগিতায় সেখানে অভিযান চালান ইউএনও রফিকুল ইসলাম। তিনি মসজিদের বারান্দা থেকে আলিম পরীক্ষার উত্তরপত্র তৈরির সময় দুজন শিক্ষককে আটক করেন।
এ সময় কয়েকজন শিক্ষক তাঁদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মুঠোফোন ফেলে পালিয়ে যান। পরে সেখান থেকে ৯টি মোটরসাইকেল ও ৪টি মুঠোফোন জব্দ করে প্রশাসন। ইউএনও নির্দেশনা দিলেই আটক দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কেন্দ্রসচিবের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হবে।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, পরীক্ষা চলাকালে উত্তরপত্র তৈরি ও সরবরাহের সঙ্গে জড়িত দুই শিক্ষককে আটকের পর ঘোড়াঘাট থানা-পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রসচিবের পক্ষ থেকে থানায় ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন। মামলা হলে তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আগামীকাল সোমবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dinajpur TV
কমেন্ট বক্স